কবিতা
B
Thursday, August 28, 2025
আটক লতিফ সিদ্দিকী, শিক্ষক হাফিজুরসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে
সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল লতিফ সিদ্দিকীকে অবরুদ্ধ করেছেন একদল ব্যক্তি। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ডিআরইউতেছবি: প্রথম আলো
আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান (কার্জন), সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলমসহ আটক ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা হতে যাচ্ছে। আটকের ১১ ঘণ্টা পর পুলিশ প্রথম আলোকে এ তথ্য জানিয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ডিআরইউতে একটি গোলটেবিল আলোচনা চলাকালে একদল ব্যক্তি নিজেদের জুলাই যোদ্ধা পরিচয় দিয়ে তাঁদের ওপর চড়াও হন। এরপর দুপুর সোয়া ১২টার দিকে তাঁরা এই ১৫ জনকে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
রাত ১১টার দিকে ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের যুগ্ম কমিশনার মো. নাসিরুল ইমলাম প্রথম আলোকে বলেন, আটক ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলার প্রক্রিয়া চলছে। তাঁরা সবাই এখন ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) হেফাজতে আছেন।
সকালে আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, শেখ হাফিজুর রহমানসহ অন্যরা ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) গোলটেবিল আলোচনায় অংশ নিতে যান। ‘আমাদের মহান স্বাধীনতাযুদ্ধ এবং বাংলাদেশের সংবিধান’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনার আয়োজক ছিল ‘মঞ্চ ৭১’ নামের একটি প্ল্যাটফর্ম। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল বাংলাদেশের সংবিধানের অন্যতম প্রণেতা ও গণফোরামের ইমেরিটাস সভাপতি ড. কামাল হোসেনের। তবে তিনি সেখানে ছিলেন না। সকাল ১০টায় গোলটেবিল আলোচনা শুরুর কথা থাকলেও বেলা ১১টায় আলোচনা সভাটি শুরু হয়।
আলোচনা সভায় প্রথমে বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান (কার্জন)। তিনি বলেন, ‘আমরা দেখতে পাচ্ছি, দেশের সংবিধানকে ছুড়ে ফেলার পাঁয়তারা করা হচ্ছে। এর পেছনে রয়েছে জামায়াত-শিবির ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বে তারা মুক্তিযোদ্ধাদের জুতার মালা পরাচ্ছে।’
শেখ হাফিজুর রহমানের বক্তব্য শেষ হওয়ার পরই মিছিল নিয়ে একদল ব্যক্তি ডিআরইউ মিলনায়তনে ঢোকেন। এ সময় তাঁরা ‘জুলাইয়ের হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’, ‘লীগ ধর, জেলে ভর’, ‘জুলাইয়ের যোদ্ধারা, এক হও লড়াই করো’ প্রভৃতি স্লোগান দেন। একপর্যায়ে তাঁরা গোলটেবিল আলোচনার ব্যানার ছিঁড়ে আলোচনায় অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের অবরুদ্ধ করে রাখেন। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে পুলিশের (ডিএমপি) একটি দল এলে তাঁরা পুলিশের কাছে লতিফ সিদ্দিকী, অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান, সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলমসহ অন্তত ১৫ জনকে তুলে দেন।
পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) আসাদুজ্জামান সেখানে উপস্থিত ছিলেন। দুপুর সোয়া ১২টার পর কয়েকজন পুলিশ সদস্য এসে লতিফ সিদ্দিকীসহ বেশ কয়েকজনকে পুলিশ ভ্যানে নিয়ে যান।
গোলটেবিল আলোচনায় অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিদের অবরুদ্ধ করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে আল আমিন রাসেল নামের একজন বলেন, ‘আমরা জুলাই যোদ্ধা। এখানে পতিত আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা জড়ো হয়ে ষড়যন্ত্র করছে। জুলাই যোদ্ধারা বেঁচে থাকতে এমন কিছু আমরা মেনে নেব না।’
Wednesday, July 30, 2025
Friday, April 18, 2025
“শেষটা এমনি”
“শেষ চিঠি”
ছোট্ট এক নদী-ঘেরা শহর। নদীর নাম শীতলেশ্বরী। এই শহরে বসবাস করে দুই প্রাণ – আরিজ ও মায়া। তারা ছোটবেলা থেকেই একসাথে বড় হয়েছে, স্কুলের বেঞ্চ ভাগ করে নিয়েছে, নদীর ধারে বসে গল্প করেছে, একে অপরের চোখে ভবিষ্যৎ দেখেছে।
মায়ার চোখে ছিল স্বপ্ন, আরিজের চোখে ছিল সেই স্বপ্নের প্রতিচ্ছবি।
মায়া চেয়েছিল ডাক্তার হতে। আরিজ ছিল এক চিত্রশিল্পী। সে মায়ার প্রতিটি মুহূর্ত ধরে রাখতে ভালোবাসত ক্যানভাসে। মায়া যখন ভর্তি পরীক্ষার জন্য ঢাকা চলে গেল, আরিজ তাকে প্রতিদিন চিঠি লিখত। তার চিঠিতে থাকত সাহস, ভালোবাসা, আর নদীর কোলঘেঁষে তাদের ফেলে আসা গল্পগুলোর ঝাপসা স্মৃতি।
মায়া ভর্তি হলো। ডাক্তারি পড়ার চাপ আর শহরের ব্যস্ততায় চিঠির উত্তর কমতে লাগল। কিন্তু আরিজ লেখা থামায়নি।
একদিন, হঠাৎ করেই চিঠি পাঠানো বন্ধ হয়ে গেল।
মায়া অনেক চেষ্টা করল যোগাযোগের। বাড়ি ফোন করল, বন্ধুদের জিজ্ঞেস করল, কিন্তু কেউ কিছু জানে না। অবশেষে, তিন মাস পর সে ছুটিতে বাড়ি ফিরল।
শীতলেশ্বরীর পাশে বসে থাকা বুড়ো মাঝি তাকে জানাল – “আরিজ তো চলে গেছে মা। ওই ক্যানভাসের মধ্যে তোর মুখ আঁকতে আঁকতেই একদিন হার্ট অ্যাটাক করল। শেষবারের মতো তোর চিঠি পড়েই চুপ হয়ে গেল ছেলেটা।”
মায়া ঝড়ের মতো ছুটে গেল আরিজের ঘরে। জানলার পাশে পড়ে থাকা এক খামে লেখা ছিল—
"শেষ চিঠি, মায়ার জন্য।"
চিঠিতে লেখা ছিল:
“মায়া,
যদি কখনও ফিরে আসো আর আমায় না পাও, ক্যানভাসগুলো দেখে নিও। আমি তোকে ভালোবাসতাম রঙের চেয়েও বেশি। যদি জন্ম থাকে, শীতলেশ্বরীর ধারে আবার দেখা হবে। শুধু এবার চিঠি নয়, একটা ছবি রেখে যাবো তোর জন্য।”
মায়া কান্না চেপে রাখতে পারল না। তার চোখের জলে ভিজে গেল শেষ চিঠির অক্ষরগুলো। সেই দিন থেকেই সে আর ঢাকায় ফেরেনি।
আজও, কেউ কেউ দেখে—
এক নারী প্রতিদিন শীতলেশ্বরীর ধারে বসে থাকে, একটা পুরোনো চিঠি হাতে। তার চোখে জল নেই, কেবল নদীর দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসি।
Thursday, April 17, 2025
শেষ চিঠি
অবশ্যই, নিচে একটি হৃদয়ছোঁয়া প্রেমের ট্র্যাজেডি গল্প দিলাম, যার নাম **"শেষ চিঠি"**।
---
### **শেষ চিঠি**
**লেখক: ChatGPT**
ঢাকার ব্যস্ত শহরের এক কোণে, ধানমন্ডির পুরোনো এক বইয়ের দোকানে কাজ করত রায়হান। বই আর শব্দের মধ্যে সে খুঁজে পেত শান্তি। একদিন হঠাৎই দোকানে এলো মেঘলা নামের এক মেয়ে—চোখে ছিল মায়া, মুখে ছিল একটা অদ্ভুত বিষণ্ণতা।
প্রথম দেখা থেকেই কিছু একটা বদলে যেতে লাগল রায়হানের ভিতরে। মেঘলার প্রতিটা বই নেয়ার সময়, সে যেভাবে পাতাগুলো ছুঁয়ে দেখত—তাতে মনে হতো, সে যেন বই নয়, কারও স্মৃতি খুঁজে বেড়াচ্ছে। দিন পেরিয়ে গেল, বইয়ের পাতার ফাঁকে জন্ম নিল এক অনুচ্চারিত প্রেম।
একদিন সাহস করে রায়হান জিজ্ঞেস করল,
— "তুমি এত দুঃখী দৃষ্টিতে বই পড়ো কেন?"
মেঘলা হেসে বলেছিল,
— "সব বইয়ের একটা শেষ আছে, রায়হান। আর আমিও জানি, আমার গল্পটাও শিগগিরই শেষ হবে।"
রায়হান কিছু বুঝে উঠতে পারল না। মেঘলার হাসির আড়ালে যে এক গভীর কান্না লুকানো, সেটা শুধু অনুভব করতে পারল।
দু’জনের সম্পর্কটা সময়ের সাথে গাঢ় হলো। একদিন রায়হান সিদ্ধান্ত নিল—সে মেঘলাকে প্রপোজ করবে। একটা চিঠি লিখে রাখল, দোকানের সেই প্রিয় বইয়ের ভিতরে, যেটা মেঘলা প্রায়ই পড়ে।
কিন্তু মেঘলা আর আসেনি।
সপ্তাহ কেটে গেল, মাস কেটে গেল। একদিন মেঘলার ছোট বোন এল বইয়ের দোকানে। হাতে এক প্যাকেট আর চোখে অশ্রু।
— "ভাইয়া, আপু মারা গেছে। ব্লাড ক্যানসার ছিল। আপনাকে কিছু দিয়ে যেতে বলেছিল।"
প্যাকেটটা খুলে রায়হান দেখতে পেল—মেঘলার ডায়েরি, আর শেষ পাতায় লেখা:
*"রায়হান, তুমি হয়তো কখনো জানবে না, আমি তোমাকে ভালোবেসে ফেলেছিলাম। কিন্তু আমার সময় ছিল না। তাই তোমার প্রপোজালের অপেক্ষা করতে পারিনি। তোমার সাথে কাটানো প্রতিটা মুহূর্তই আমার জীবনের সবচেয়ে সুন্দর অধ্যায়। যদি আবার জন্ম হয়... আমি চাই, সেদিন তুমি চিঠিটা আমাকে আগে দাও।"*
চোখের কোনা ভিজে গেল রায়হানের।
সে চিঠিটা, যেটা মেঘলার প্রিয় বইয়ের ভেতরে ছিল, সে আর কাউকে দেখাল না। দোকানের এক কোণে, সেই বইটা সে এখনো রেখে দেয়... হয়তো মেঘলা আবার কোনোদিন আসবে, শেষ চিঠিটা পড়তে।
---
চাইলে এই গল্পের কোনো অংশ আপনি নিজের মতো করে বদলে নিতে পারেন, বা আমি আরো বড় করে লিখে দিতে পারি। বলবেন?
Wednesday, April 16, 2025
নীল কুয়াশায় হারিয়ে যাওয়া"
"নীল কুয়াশায় হারিয়ে যাওয়া"
চাঁদের আলোয় ভেসে থাকা একটি ছোট গ্রাম—নাম ধুলিখালি। গ্রামের শেষ প্রান্তে বাঁশবনের পাশে এক কাঁচা পথ, যার শেষ মাথায় ছিল এক ছোট টিনের ঘর। সেই ঘরেই থাকত মেঘলা—এক পিতৃহীন কিশোরী, যার চোখে সবসময় স্বপ্নের জোয়ার।
আর ঠিক পাশের বাড়িতেই থাকত রায়হান—একজন কবি-মনস্ক যুবক, যার কবিতায় বারবার ফিরে আসত “এক জোড়া বড়ো চোখ”।
দুই বাড়ির মাঝে ফাঁকা এক মেঠোপথ, কিন্তু হৃদয়ের দূরত্ব ছিল না বিন্দুমাত্র। মেঘলা প্রতিদিন বিকেলে নদীর ঘাটে যেত জল আনতে, আর রায়হান ছায়ায় দাঁড়িয়ে তাকে দেখত। একদিন সাহস করে বলেই ফেলল—
“তোমার চোখ দুটো কবিতা লেখায় বাধা দেয় মেঘলা… একবার হাসো না, দেখি কি হয়!”
মেঘলা হেসে উঠেছিল, আর সেই হাসিতে জন্ম নেয় এক অনন্ত প্রেমের গল্প।
দিন কাটতে লাগল, ফুল ফুটল, নদীর জলও যেন প্রেমে স্রোত পেল। কিন্তু তাদের ভালোবাসার উপর ছায়া ফেলল সমাজের রীতি আর মেঘলার মামা—যিনি তার একমাত্র অভিভাবক ছিলেন।
মেঘলার বিয়ে ঠিক হলো শহরের এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে। দালালি করে সেই সম্পর্কটা গড়ে তুলেছিল তার মামা, মোটা টাকার লোভে।
মেঘলা শেষবার রায়হানকে দেখতে গিয়েছিল। চোখে অশ্রু, হাতে তার লেখা একটি কবিতা—
“যদি হারাই আমি, রাখো মনে,
এক ফোঁটা কুয়াশা ছিলাম তোমার দৃষ্টি-কোণে…”
রায়হান কিছু বলার আগেই মেঘলা দৌড়ে চলে গিয়েছিল।
বিয়ের দিন সকালে, খবর এলো—মেঘলা নেই।
নদীর ঘাটে তার ওড়না ভেসে ছিল, পাশে পড়ে ছিল সেই কবিতার কাগজ।
গ্রামটা স্তব্ধ, নদীটা আজো সেই ওড়না বয়ে নিয়ে চলে... আর রায়হান?
সে আজও বাঁশবনের পাশে বসে থাকে প্রতিদিন সন্ধ্যায়, হাতে থাকে একটা নতুন কবিতা—
যেখানে নায়িকা আসেনা, শুধু তার ছায়া ফিরে আসে কুয়াশায় ঢাকা সেই নদীর ধারে…
Tuesday, April 15, 2025
শেষ চিঠি
অবশ্যই, নিচে একটি হৃদয়ছোঁয়া প্রেমের ট্র্যাজেডি গল্প দিলাম। গল্পটির নাম **"শেষ চিঠি"**।
---
### **শেষ চিঠি**
শহরের এক ছোট্ট অলিগলিতে থাকত অর্ণব। সাধারণ এক চাকুরিজীবী, স্বপ্ন ছিল ছোট কিন্তু হৃদয় ছিল বিশাল। একদিন অফিস থেকে ফেরার পথে এক মেয়েকে দেখল — নীল শাড়িতে, চোখে কালো কাজল, যেন গল্পের নায়িকা। তার নাম ছিল **মায়া**।
মায়ার সঙ্গে প্রথম দেখাতেই হৃদয়ের গভীরে কোথাও যেন কাঁপন লাগল। অর্ণব সাহস করে কথা বলল, আর সেখান থেকেই শুরু হল একটা অপূর্ণ প্রেমগাথা।
দিন গড়াল, সম্পর্ক গভীর হল। তারা দুজনেই বুঝল, তাদের ভালোবাসা স্রেফ আবেগ নয়, বরং একে অপরের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে গেছে। অর্ণব সিদ্ধান্ত নিল মায়াকে প্রপোজ করবে। এক বিকেলে নদীর ধারে দাঁড়িয়ে সে মায়ার হাতে তুলে দিল একটা আংটি।
মায়া চুপ করে ছিল। চোখে জল, ঠোঁটে নীরবতা। হঠাৎ সে বলল, “অর্ণব, আমি তোকে ভালোবাসি, কিন্তু আমি তোকে ছেড়ে যেতে আসছি।”
অর্ণব বুঝতে পারল না। মায়া চোখের পানি মুছে বলল, “আমার ক্যান্সার হয়েছে অর্ণব। শেষ স্টেজ। বাঁচার সময় খুব কম।”
আকাশ যেন ভেঙে পড়ল অর্ণবের ওপর। সেই মুহূর্ত থেকে সে শুধু একটাই কথা বলল, “তুই যতদিন আছিস, আমি তোকে হাসাতে চাই।”
এরপরের কয়েক মাস ছিল একরকম স্বপ্নের মতো। প্রতিটা দিন, প্রতিটা মুহূর্ত তারা কাটিয়েছিল ভালোবাসায়, গল্পে আর হাসিতে। কিন্তু শরীর তো আর মন বোঝে না।
একদিন মায়া চিরতরে চলে গেল।
অর্ণব তার বিছানার পাশে একটি চিঠি পেল।
---
### **শেষ চিঠি**
_“অর্ণব,_
_তুই যখন এই চিঠিটা পড়বি, আমি তখন হয়তো আর থাকব না। কিন্তু আমি তোকে ছেড়ে যাইনি, আমি আকাশের তারা হয়ে গেছি, তুই যখন চাঁদের দিকে তাকাবি, আমি তোকে দেখে হাসব।_
_ধন্যবাদ, অর্ণব — শেষ সময়ে আমাকে ভালোবাসার এত রঙ দেখানোর জন্য।_
_ভালো থাকিস..._
_চিরকাল তোর —_
_**মায়া**”_
---
অর্ণব এখনো নদীর ধারে বসে চাঁদের দিকে তাকিয়ে থাকে। কেউ পাশে নেই, কিন্তু তার চোখে মায়ার হাসিটা এখনো জীবন্ত।
---
তোমার যদি কোনো নির্দিষ্ট সেটিং, যুগ, কিংবা চরিত্রের পছন্দ থাকে, তাহলে আমি সেটা নিয়েও নতুন করে লিখে দিতে পারি। 💙
Monday, April 14, 2025
শেষ চিঠি
শেষ চিঠি
শহরের কোলাহল থেকে দূরে, একটি ছোট্ট গ্রামের মেঠোপথের ধারে ছিল রুদ্রর বাড়ি। আর ওই পথ ধরে প্রতিদিন স্কুলে যেত মেঘলা। ক্লাস টেন থেকেই দুজনের পরিচয়, আর পরিচয়ের কিছুদিন পরেই বন্ধুত্ব, তারপর সেই চিরচেনা গল্প—বন্ধুত্ব ধীরে ধীরে রূপ নেয় প্রেমে।
রুদ্র ছিল গ্রামে থেকেই পড়াশোনা করা এক মেধাবী ছেলে, আর মেঘলার স্বপ্ন ছিল শহরে গিয়ে ডাক্তারি পড়া। রুদ্র চেয়েছিল, মেঘলা তার স্বপ্ন পূরণ করুক, যেভাবেই হোক।
সেদিন ছিল শরতের এক বিষণ্ন দুপুর। মেঘলার হাতে শহরের কলেজ থেকে অফার লেটার। ও চলে যাবে চিরদিনের মতো, অন্তত কিছু বছরের জন্য। রুদ্র কিছু বলে না, শুধু এক টুকরো কাগজে লিখে দেয়—
"যদি একদিন মনে পড়ে, মেঘে ভেজা এই মেঠোপথটা, জানবে আমি এখানেই আছি, অপেক্ষায়।"
মেঘলা চলে যায়।
পাঁচ বছর কেটে যায়।
শহরের কোলাহলে মেঘলা নতুন জীবন গড়ে, নতুন পরিচিতি, নতুন ব্যস্ততা। রুদ্র? সে অপেক্ষা করে প্রতিদিন মেঠোপথে, এক কাপ চায়ের সাথে, মেঘলার জন্য।
শেষমেশ, মেঘলা ফিরে আসে। কিন্তু তার হাতে ছিল না কোনো উপহার, ছিল না কোনো আনন্দ—ছিল শুধুই এক বৃষ্টি ভেজা সকাল, আর হাতে ধরা একটা খবরের কাগজের টুকরো—
"স্থানীয় যুবক রুদ্রের আত্মহত্যা, প্রেমিকার ফিরে না আসায় চিঠি রেখে বিদায়"
চিঠিটা ছিল ঠিক সেই কাগজের মতো, যে কাগজে রুদ্র লিখেছিল তার শেষ অনুভব।
মেঘলা পড়ে:
"তোর স্বপ্নের আকাশে আমিও একদিন পাখি হতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমি মাটির, তুই আকাশের। ভালো থাকিস, মেঘ।"
Subscribe to:
Posts (Atom)
আটক লতিফ সিদ্দিকী, শিক্ষক হাফিজুরসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে
সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল লতিফ সিদ্দিকীকে অবরুদ্ধ করেছেন একদল ব্যক্তি। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ডিআরইউতেছবি: প্রথম আলো আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সদস্য...
-
“বৃষ্টিভেজা চিঠি” নিশা আর আরিফ—দুজনেই একই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ত। নিশা ছিল বাংলা সাহিত্যের ছাত্রী, আর আরিফ পদার্থবিজ্ঞান নিয়ে পড়ত। দুই বিভাগ...
-
“শেষ চিঠি” ছোট্ট এক নদী-ঘেরা শহর। নদীর নাম শীতলেশ্বরী। এই শহরে বসবাস করে দুই প্রাণ – আরিজ ও মায়া। তারা ছোটবেলা থেকেই একসাথে বড় হয়েছে, ...
-
"রোদ্দুর আর বৃষ্টির গল্প" ঢাকার ব্যস্ত একটি বিকেলে, বইয়ের দোকানের কোণে দাঁড়িয়ে ছিল রোদ্দুর। তার নামটা যেমন আলোর মতো, ছেলেটাও ত...