B

Tuesday, April 15, 2025

শেষ চিঠি

অবশ্যই, নিচে একটি হৃদয়ছোঁয়া প্রেমের ট্র্যাজেডি গল্প দিলাম। গল্পটির নাম **"শেষ চিঠি"**। --- ### **শেষ চিঠি** শহরের এক ছোট্ট অলিগলিতে থাকত অর্ণব। সাধারণ এক চাকুরিজীবী, স্বপ্ন ছিল ছোট কিন্তু হৃদয় ছিল বিশাল। একদিন অফিস থেকে ফেরার পথে এক মেয়েকে দেখল — নীল শাড়িতে, চোখে কালো কাজল, যেন গল্পের নায়িকা। তার নাম ছিল **মায়া**। মায়ার সঙ্গে প্রথম দেখাতেই হৃদয়ের গভীরে কোথাও যেন কাঁপন লাগল। অর্ণব সাহস করে কথা বলল, আর সেখান থেকেই শুরু হল একটা অপূর্ণ প্রেমগাথা। দিন গড়াল, সম্পর্ক গভীর হল। তারা দুজনেই বুঝল, তাদের ভালোবাসা স্রেফ আবেগ নয়, বরং একে অপরের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে গেছে। অর্ণব সিদ্ধান্ত নিল মায়াকে প্রপোজ করবে। এক বিকেলে নদীর ধারে দাঁড়িয়ে সে মায়ার হাতে তুলে দিল একটা আংটি। মায়া চুপ করে ছিল। চোখে জল, ঠোঁটে নীরবতা। হঠাৎ সে বলল, “অর্ণব, আমি তোকে ভালোবাসি, কিন্তু আমি তোকে ছেড়ে যেতে আসছি।” অর্ণব বুঝতে পারল না। মায়া চোখের পানি মুছে বলল, “আমার ক্যান্সার হয়েছে অর্ণব। শেষ স্টেজ। বাঁচার সময় খুব কম।” আকাশ যেন ভেঙে পড়ল অর্ণবের ওপর। সেই মুহূর্ত থেকে সে শুধু একটাই কথা বলল, “তুই যতদিন আছিস, আমি তোকে হাসাতে চাই।” এরপরের কয়েক মাস ছিল একরকম স্বপ্নের মতো। প্রতিটা দিন, প্রতিটা মুহূর্ত তারা কাটিয়েছিল ভালোবাসায়, গল্পে আর হাসিতে। কিন্তু শরীর তো আর মন বোঝে না। একদিন মায়া চিরতরে চলে গেল। অর্ণব তার বিছানার পাশে একটি চিঠি পেল। --- ### **শেষ চিঠি** _“অর্ণব,_ _তুই যখন এই চিঠিটা পড়বি, আমি তখন হয়তো আর থাকব না। কিন্তু আমি তোকে ছেড়ে যাইনি, আমি আকাশের তারা হয়ে গেছি, তুই যখন চাঁদের দিকে তাকাবি, আমি তোকে দেখে হাসব।_ _ধন্যবাদ, অর্ণব — শেষ সময়ে আমাকে ভালোবাসার এত রঙ দেখানোর জন্য।_ _ভালো থাকিস..._ _চিরকাল তোর —_ _**মায়া**”_ --- অর্ণব এখনো নদীর ধারে বসে চাঁদের দিকে তাকিয়ে থাকে। কেউ পাশে নেই, কিন্তু তার চোখে মায়ার হাসিটা এখনো জীবন্ত। --- তোমার যদি কোনো নির্দিষ্ট সেটিং, যুগ, কিংবা চরিত্রের পছন্দ থাকে, তাহলে আমি সেটা নিয়েও নতুন করে লিখে দিতে পারি। 💙

No comments:

Post a Comment

“শেষটা এমনি”

“শেষ চিঠি” ছোট্ট এক নদী-ঘেরা শহর। নদীর নাম শীতলেশ্বরী। এই শহরে বসবাস করে দুই প্রাণ – আরিজ ও মায়া। তারা ছোটবেলা থেকেই একসাথে বড় হয়েছে, ...