B
Sunday, September 24, 2023
কবিতা
লিপিস্টিক
নির্মলেন্দু গুন
ট্যাকা কি গাছের গুডা?
নাকি গাঙের জলে ভইস্যা আইছে?
এই খানকী মাগীর ঝি,
একটা টাকা কামাই করতে গিয়ে।
আমার গুয়া দিয়া দম আয়ে আর যায়
আর তুই পাঁচ ট্যাকা দিয়ে
ঠোঁট পালিশ কিনছস কারে ভুলাইতে?
ক্যা, আমি কি তরে চুমা খইনা?
এই তালুকদারের বেডি, বাপের জন্মে
পাঁচ ট্যাকার নুট দেখছস?
যা অহন রিকশা লইয়া বাইরা,
আমি আর রিকশা বাইতে পারুম না।
বউটা ভীষণ ঘাবড়ে যায়!
কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে সে এগোয় রিকশার দিকে:
'যামু? তয় আমারে রিকশা চালানি শিখাইয়া দেও।
রিকশাঅলা বউয়ের দিকে আচমকা তাকায়,
তার চোখ আটকে যায় বউয়ের পালিশ করা ঠোঁটে।
বুকের মধ্যে হঠাৎ করে ঝলক দিয়ে ওঠে রক্ত।
একটু আগেই যাকে তালাক দেবে ভেবেছিল:
'আয়, তোরে রিকশা চালানি শিখাই'-এই বলে
সে তার বউটাকে চুলের মুঠো ধরে
হ্যাঁচড়াতে হ্যাঁচড়াতে টেনে নিয়ে যায়
আপন গুহার দিকে।
ঘণ্টাখানেক ধরে বউকে সে রিকশা চালানি শেখায়।
বউ বলে: কী অহন রাগ পড়িছে?
রিকশাঅলা বউয়ের দিকে তাকায়,
চেনা বউটাকেও ভীষণ অচেনা মনে হয়।
ভাবে, আহা, পাঁচ ট্যাকার লিপিস্টিকেই অতো!
বড়লোকদের মতো যদি সে বউটার পিছনে
আরো কিছু ট্যাকা ইনভেস্ট করতে পারতো।
রমনা পার্কের হাওয়া খাওয়াবে বলে
সে তখন বউটাকে প্যাসিঞ্জার বানিয়ে নিয়ে
ছুটে যায় রমনা পার্কের দিকে
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
“শেষটা এমনি”
“শেষ চিঠি” ছোট্ট এক নদী-ঘেরা শহর। নদীর নাম শীতলেশ্বরী। এই শহরে বসবাস করে দুই প্রাণ – আরিজ ও মায়া। তারা ছোটবেলা থেকেই একসাথে বড় হয়েছে, ...

-
“বৃষ্টিভেজা চিঠি” নিশা আর আরিফ—দুজনেই একই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ত। নিশা ছিল বাংলা সাহিত্যের ছাত্রী, আর আরিফ পদার্থবিজ্ঞান নিয়ে পড়ত। দুই বিভাগ...
-
"রোদ্দুর আর বৃষ্টির গল্প" ঢাকার ব্যস্ত একটি বিকেলে, বইয়ের দোকানের কোণে দাঁড়িয়ে ছিল রোদ্দুর। তার নামটা যেমন আলোর মতো, ছেলেটাও ত...
-
শেষ চিঠি শহরের কোলাহল থেকে দূরে, একটি ছোট্ট গ্রামের মেঠোপথের ধারে ছিল রুদ্রর বাড়ি। আর ওই পথ ধরে প্রতিদিন স্কুলে যেত মেঘলা। ক্লাস টেন থেক...
No comments:
Post a Comment